হলুদ গাছ যে কোন বাগানের জন্য প্রাকৃতিক নিরাপত্তা রক্ষী। যে মাটিতে হলুদ বোনা হয় সেই মাটিতে কোন ক্ষতিকর ও বিষাক্ত পোকামাকড় বসবাস করতে পারে না। আমাদের ছাদে দুই মাথা বিশিষ্ট এক ধরনের বিষাক্ত চেলা দেখা যায়। আপনারা কে কি বলেন জানি না, এরা খুব দ্রুত চলাফেরা করতে পারে। আমরা অর্গানিক পদ্ধতিতে বাগান করি বলে আমাদের বাগানে এদের উপদ্রব একটু বেশী, প্রায় যে কোন নরম ঝুরঝুরে টবের মাটিতে বা টব সরালেই টবের নীচে এদের দেখা পাওয়া যায় এবং দেখা মাত্র এরা দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমার মা যদি সন্ধ্যার পর বাগানে মাটি নিয়ে কাজ করেন উনি অন্য গাছের টব বা ড্রামের মাটি খুব সাবধানে ও সতর্কতার সাথে খোঁচাখুঁচি করলেও হলুদের গাছের পাত্রের মাটিতে যে কোন ধরনের ক্ষতিকর পোকামাকড় থাকবে না সেটা উনি শতভাগ নিশ্চিত থাকেন।
ছাদ বাগানের বিশ্বস্থ প্রাকৃতিক প্রহরী হলুদকেও এক সময় বাগান থেকে বিদায় নিতে হয়। বিদায় নেয়ার আগে সে যেন তার দায়িত্বটা অন্য কোন প্রাকৃতিক প্রহরীর কাছে অর্পন করে যেতে পারে তার জন্য বাগানে দরকার গাঁদা ফুল গাছ, গাদা ফুল গাছই মাটির সবচেয়ে ভয়ংকর ও ক্ষতিকর মাইক্রোসকপিক অনুজীব নেমাটোড থেকে মাটিকে বেশ কয়েক মাস সুরক্ষিত রাখতে পারে। হলুদ গাছের বিদায় নেয়ার সাথে সাথে গাঁদা ফুল গাছের দায়িত্ব নেয়া এ গুলো আসলে বাগানের প্রাকৃতিক প্রহরীদের বিষ্ময়কর শিফটিং ডিউটি যা এরা পালাক্রমে করে থাকে। প্রকৃতি দিয়ে প্রকৃতিকে সুরক্ষা করার ব্যবস্থাটা মহান আল্লাহ তায়ালাই আমাদের শিখিয়ে দিয়েছেন ।

Ziaul Haque
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?
Fahim Ahmed
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?
Ayesha Rahman
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?
Rabiul
Delete Comment
Are you sure that you want to delete this comment ?