বিমানবন্দরের পাশেই ফুটপাতে একজন লোক মাটিতে পড়ে আছে। কপাল কেটে র*ক্ত ঝড়ছে, হাতে আঙ্গুল ক্ষ*ত হয়েছে, জ্ঞান নেই। পাশেই চায়ের ফ্ল্যাক্স ও লোকটির চার বা পাঁচ বছরের সন্তান। পকেট থেকে ফোনটি নিয়ে বারবার তাঁর পরিবারে ফোন দিচ্ছে কিন্তু ধরছে না। তাঁকে কে হাসপাতালে নিয়ে যাবে, তা নিয়ে সংশয় সবার চোখে মুখে। তারপর একজন লোক ও আমি পাশে গিয়ে মনে হলো লোকটি মৃগীরোগ রয়েছে। একজন জুতা নাকে ধরতেই, লোকটি নড়াচড়া করে নিজেকে জানান দিল।
ফ্যাল ফ্যাল চোখে চারপাশ দেখে নিলো। হাত এগিয়ে দিয়ে তাকে তুলতে বলল। তারপর লোকটি উঠলো। তাঁর বাড়িতে ফোন দিতে নিষেধ করল। কারণ তাঁর স্ত্রী পোশাক শ্রমিক। সেখানে কাজ করতে গেছে। ছোট্ট বাচ্চাটিকে নিয়ে চা বিক্রি করতে এসেছে। মাথা ঘুরানি দিয়ে বাইকের সাথে ধাক্কা লেগে পড়ে গেছে।
তারপর অনেকেই লোকটিকে সাহায্য করতে চাইলে, তিনি ফেরত দিতে মরিয়া। বারবার বলেছে, কিছু হয়নি। ঠিক হয়ে যাব।' তারপরও সাধ্য অনুযায়ী অনেক মানুষই তাকে সাহায্য করলো। জোর করে টাকা দিলো।
মানবজনম কত অদ্ভুত। কত বাস্তব কাহিনির মহাসাগর লুকিয়ে। কখন কার অবস্থা কোনদিকে, কেউ বলতে পারে না। ছেলেটির চোখে মুখে বিষাদ। আমারো তার বয়সে একজন সন্তান আছে। দেখে এতো মায়া হলো!

Nafis Iqbal
Slet kommentar
Er du sikker på, at du vil slette denne kommentar?
Fahim Ahmed
Slet kommentar
Er du sikker på, at du vil slette denne kommentar?
Ayesha Rahman
Slet kommentar
Er du sikker på, at du vil slette denne kommentar?