আজ চট্টগ্রামের নয়টি জায়গায় গিয়েছি। মানুষের কথা শুনেছি, তাঁদের উদ্বেগ জেনেছি, আর দেশ নিয়ে আমাদের পরিকল্পনার কথা বলেছি। তবে দিনের দুটি মুহূর্ত আমার মনে গভীর দাগ কেটেছে।
প্রথমটি ছিল এক ছোট্ট মেয়ে সুহানাকে ঘিরে। সে এখন ক্লাস ফাইভে পড়ে। আমি এক স্থানীয় ফার্মেসিতে ঢুকেছিলাম দোকানদার ভাইয়ের সাথে কথা বলার জন্য। হঠাৎ সুহানা আমাকে চিনে ফেলে। বলে উঠল, "ছাত্রদের দলকে আমি চিনি!" কোনো দ্বিধা না করেই সামনে এগিয়ে এসে সেলফি তুলল। আমি স্বপ্ন দেখি এমন এক বাংলাদেশের, যেখানে সুহানা নির্ভয়ে, নিরাপদে, সম্মানের সাথে আর আনন্দে বড় হতে পারবে।
দ্বিতীয় মুহূর্তটি ছিল দিনের শেষে। শহীদ ওমরের মায়ের সঙ্গে দেখা হলো বোয়ালখালীতে। তিনি এসেছিলেন ছেলের কবর তৈরির খোঁজ নিতে। শুনেছেন আমরা কিছুক্ষণ পর আসছি, তাই থেকে গিয়েছিলেন। কী দৃঢ়তা তাঁর কণ্ঠে। বললেন, তিনি ছেলের মৃত্যু মেনে নিয়েছেন। এটাকে তিনি মহৎ উদ্দেশ্যে আত্মত্যাগ হিসেবে দেখেন। কিন্তু ওমরের বাবার এখনও মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। জীবনের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন, এমনকি দৈনন্দিন কাজও করতে পারেন না।
ওমর ছিল এক মেধাবী তরুণ। পড়াশোনা প্রায় শেষ করে ফেলেছিল। বাংলাদেশ বিমানে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। অথচ মুহূর্তেই রাষ্ট্র তার জীবন কেড়ে নিয়েছে।

Ziaul Haque
コメントを削除
このコメントを削除してもよろしいですか?
Fahim Ahmed
コメントを削除
このコメントを削除してもよろしいですか?
Ayesha Rahman
コメントを削除
このコメントを削除してもよろしいですか?