ঘটনা ১. স্বর্ণা দাস নামের ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী বিএসএফ-এর গুলিতে মারা যায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্তে, পহেলা সেপ্টেম্বরে। তার লাশ বাংলাদেশে ব্যাক পাঠানো হয় ৩ সেপ্টেম্বরে। আগে এই ঘটনাগুলো ঘটার পরও বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে কোন শক্ত কোন প্রতিবাদ জানানো হতো না। এবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে এবং তাদের দূতাবাসে কড়া বার্তা পাঠিয়ে জবাব চাওয়া হয়েছে। বিগত দিনগুলোতে কূটনীতিক চ্যানেলে এতোটাই নতজানু অবস্থা ছিলো যে এভাবে শক্ত প্রতিবাদ করে জবাব চাওয়ার কালচারই থমকে গিয়েছিলো। এবার রেসপন্সটা যে শক্ত হওয়া শুরু করেছে, এটা আরও দৃঢ় এবং দৃশ্যমান হতে থাক, সেটাই কাম্য।
আমজনতা এই একটা ঘটনা থেকে একটা শিক্ষা নিতে পারে, ওদের হাতে যে মুসলমান-হিন্দু কেউই নিরাপদ না, এইটা সবারই বুঝতে পারাটা জরুরি। হিন্দুূ ভাইদের যে জোট আছে মানে বিভিন্ন ইস্যুতে মুখপাত্র হিসাবে যারা কথা বলে, অন্য অনেকসময় অনেক ইস্যুতে দেখা যায় তারা বেশ কঠোরভাবে বিবৃতি দেয় বা কর্মসূচি পালন করে। বিএসএফ এর গুলিতে যখন স্বর্ণা দাস নামের কিশোরী মারা গেলো, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কি অন্যসময় যারা এত ভয়েস রেইজ করে, তাদের একটা শক্ত বিবৃতি বা কর্মসূচি দেওয়া উচিৎ ছিলো না? আমার মনে হয় এটা করা উচিৎ ছিলো তাদের।
Md Abdus Sabur Sayam
Slet kommentar
Er du sikker på, at du vil slette denne kommentar?