শহীদ ব্যাপারটা যদি না থাকতো আন্দোলনে যাওয়ার স্পিরিটটা হয়তো এতো থাকতো না। স্রেফ 'মইরা যাওয়া' নিয়া আবু সাঈদের মতো কেও বুক পেতে দাঁড়াতো না। এখানে একটা শহীদী তামান্নার ব্যাপার আছে। উপমহাদেশে যদিও শহীদ হওয়াটা ন্যায়ের পক্ষে মৃত্যু বুঝায় কিন্তু অনুপ্রেরণার জায়গাটা ধর্মীয়।
আন্দোলনে যাওয়ার আগে বিসমিল্লাহ বলে যাইতাম। পুলিশ শুট করার সময় ঠোঁটের ডগায় সবসময় কালেমা শাহাদাৎ থাকতো।
আমাদের কর্মসূচি ছিলো জুম্মা শেষে বিক্ষোভ মিছিল, শহীদের গায়েবানা জানাজা নামাজ।
আব্বা-আম্মা বলতো আল্লাহর নাম নিয়ে যাও আর সাবধানে থাইকো। আয়াতুল কুরসি, তিন ক্বুল পড়িও। খেয়াল করে দেখবেন অনেকে আয়াতুল কুরসির মর্তবা সম্পর্কে গ্রুপে-গ্রুপে পোস্ট/ম্যাসেজ দিতো।
মাদ্রাসা, শিবির, অন্যান্য ছাত্র-জনতা শুধু হাসিনা খেদানোর জন্য প্রাণ বিলিয়ে দেয় নাই, আল্লাহর সন্তুষ্টিটাও মুখ্য ছিলো।
আমরা আল্লাহ-ঈশ্বর-গডে বিশ্বাস করি। আমাদের প্রতিটি কার্যকলাপে রবের সন্তুষ্টির একটা ব্যাপার আছে। রাজনীতি করতে গিয়ে আল্লাহর জবাবদিহিতার ভয় আমাদেরকে পরিশুদ্ধ হইতে শেখায়। যদিও বিবেক দ্বারা সেটা পসিবল তথাপি আমরা যে পরিমাণ গাফেল আল্লাহ-খোদাই আমাদের ভয়, শক্তি, সাহস।
ব্যক্তিজীবনে ধর্মের বাধা-নিষেধ তেমন মান্য করি না। এতে অহংকার নাই, অনুতাপ আছে নিশ্চয়। তবে ধর্মকে রাজনীতি থেকে আলাদা ভাবি না।

Anika Islam
Izbriši komentar
Jeste li sigurni da želite izbrisati ovaj komentar?
Tariq Islam
Izbriši komentar
Jeste li sigurni da želite izbrisati ovaj komentar?
Shakib Hasan
Izbriši komentar
Jeste li sigurni da želite izbrisati ovaj komentar?