মানব সভ্যতার সূচনালগ্নের প্রথম শহর উরুক: সুমেরীয় সভ্যতার বিস্ময়
আমরা যদি মানব ইতিহাসের একেবারে শুরুর দিকে ফিরে যাই, তাহলে আমাদের সামনে উঠে আসে সুমেরীয় সভ্যতার প্রথম শহর উরুক। এই প্রাচীন শহরটি বর্তমানের ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত, এবং ধারণা করা হয় যে এটি ৬৫০০ থেকে ৪০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে গড়ে উঠেছিল। পৃথিবীর প্রথম শহর হিসেবে পরিচিত উরুক শুধু নগর জীবনের সূচনা নয়, মানব সভ্যতার উদ্ভব এবং উন্নতির এক অনন্য নিদর্শন।
উরুককে বিশ্বের প্রথম শহর হিসেবে অনেক গবেষক এবং ঐতিহাসিকরা বিবেচনা করেন। এখানে নগর জীবনের প্রথম উদাহরণ পাওয়া যায়, যেখানে কৃষি, বাণিজ্য, এবং সাংস্কৃতিক জীবনের বিস্তার ঘটেছিল। বিশাল প্রাচীরঘেরা এই শহরে ছিল সুশৃঙ্খল প্রশাসনিক ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে নগর পরিচালিত হতো। উরুকের মানুষেরা ছিল উদ্ভাবনী, এবং এখানেই প্রথম লেখার পদ্ধতি উদ্ভাবিত হয়েছিল, যা কিউনিফর্ম নামক লিপি দ্বারা চিহ্নিত।
১৮৪৯ সালে বিখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিদ উইলিয়াম লফ্টস উরুক শহরের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেন। তার এই আবিষ্কার মানব ইতিহাসের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। উরুকের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান আজও গবেষকদের জন্য এক চমকপ্রদ বিশ্লেষণমূলক ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হয়। এখান থেকে সংগৃহীত নিদর্শনগুলোর মাধ্যমে প্রাচীন নগর জীবনের অনেক অজানা দিক সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

Sabbir Ahmed
এই ইতিহাস সত্য হলে এটা হযরত ইদ্রিস (আ এর শহর আর ইসলামের ইতিহাস অনুযায়ী উনার আগমন হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৭০০০ বছর আগে।
সর্ববিষয়ে আল্লাহ-ই অধিক জ্ঞান রাখেন।
Izbriši komentar
Jeste li sigurni da želite izbrisati ovaj komentar?
Nafis Iqbal
Izbriši komentar
Jeste li sigurni da želite izbrisati ovaj komentar?
Ziaul Haque
Izbriši komentar
Jeste li sigurni da želite izbrisati ovaj komentar?