ফেলিক্স বাউমগার্টনার ২০১২ সালের অক্টোবরে, তিনি "রেড বুল স্ট্রাটোস" মিশনের অংশ হিসেবে পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৯ কিলোমিটার ওপরে হিলিয়াম বেলুনের সাহায্যে উঠেন। প্রায় ৩৯ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে পৃথিবীর দিকে ঝাঁপ দেন। এই উচ্চতা ছিলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তর যেখানে আকাশ পুরোপুরি কালো আর পৃথিবীকে অনেকটাই ক্ষুদ্র আর গোলাকৃতির দেখা যায়।
এই অভিযানের জন্য ফেলিক্সকে ছয় বছর ধরে প্রস্তুতি নিতে হয়েছিল। প্রথমে ভেবে ছিল এই ট্রেনিং মাত্র দুই বছরে শেষ হবে, কিন্তু ক্যাপসুল ও স্যুট তৈরি এবং অন্যান্য প্রস্তুতির জটিলতার কারণে সময় অনেক বেশি লেগে যায়। তার জন্য একটি বিশেষ হেলিয়াম বেলুন তৈরি করা হয়েছিল, যা ৩৩টি ফুটবল মাঠের সমান বড় ছিল। বেলুনটি এতই নাজুক ছিল যে এটা কন্ট্রোলের জন্য ২০ জন লোকের সাহায্য লাগত।
তার স্যুটটিও ছিলো খুব বিশেষভাবে তৈরি করা কারণ এটি ঠান্ডা (মাইনাস ৭২° সেলসিয়াস) থেকে তাকে বাঁচাবে এবং শরীরের ভেতরে চাপ বজায় রাখবে।। কিন্তু স্যুটটি ছিল খুব অস্বস্তিকর। পরে তাকে অনেকটা সময় শ্বাস নিতে কষ্ট হতো, কারণ এটা বাইরের জগৎ থেকে তাকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে রাখত। স্যুটের ভেতরে এতটা সময় কাটানোর মানসিক প্রস্তুতি নিতে তাকে অনেক মাস ধরে মানসিক ও শারীরিক প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে।

Ayesha Rahman
Ellimina il commento
Sei sicuro di voler eliminare questo commento ?
Aryan Chowdhury
যদি এরকম হত তাহলে বইয়ে এ বিষয়ে উল্লেখ নেই কেন
Ellimina il commento
Sei sicuro di voler eliminare questo commento ?