দেশভাগ কেড়ে নিয়েছিল আমার রঙিন শৈশব।
“বর্ধমানে আমাদের বাড়ির সামনের চৌবাচ্চায় লাল টুকটকে শাপলা ফুটেছিল আমার জন্মের দিন সকালে।
ওটা দেখেই বাবা আমার নাম রাখলেন লিলি।”
তখন ভারত বাংলাদেশ বলে আলাদা দেশ ছিলো না পুরোটাই ভারতবর্ষ।
চাকরির কারণে বাবা বিভিন্ন জায়গায় বদলি হতেন।
শৈশবের স্বর্ণালী দিনগুলোর অধিকাংশ কেটেছে পশ্চিম বঙ্গের বর্ধমানে।
বাবার চেয়ে মায়ের সঙ্গেই আমার সখ্যতা ছিলো বেশি।
আর দশটা শিশুর মতো আমার শৈশবও নানান গল্পে ভরপুর।
“ছোটবেলায় খুব দুষ্টু ছিলাম। একদমই ভাত খেতে চাইতাম না। ভাত চোর আরকি!মা বাইরে গেলেই জানালা দিয়ে ভাত ফেলে দিতাম। মা বলত, ভাত না খেলে শক্তি পাবে না তো। শক্তি না পেলে পড়ালেখা করবে কিভাবে?”
বাবা বর্ধমান ছেড়ে এবার বদলি হলেন আসানসোলে তাই আমার কৈশোরের কিছু মুহূর্ত কেটেছে পশ্চিম বঙ্গের আসানসোলে।
১৯৪৭ সালে দেশভাগের ডামাডোলে বাবা ফিরে আসেন যশোরে।পরে ১৯৫৩ সাল থেকে বাবা-মার সঙ্গে আমরা থিতু হলাম ঢাকায়।
জীবন সায়াহ্নে এসেও পশ্চিম বঙ্গের বর্ধমান ও আসানসোলে কাটানো শৈশব এবং কৈশোরে সুখস্মৃতি গুলো নিয়ে বেঁচে আছি।
বাংলাদেশের বর্ষীয়ান গুণী অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম দিলারা জামান। ১৯৬৬ সালে ‘ত্রিধরা’ নাটকের মাধ্যমে অভিনয় শুরু করেন তিনি। এরপর অসংখ্য টিভি নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি।প্রথম জীবনে শিক্ষকতার সাথেও যুক্ত ছিলেন কিংবদন্তি এই অভিনেত্রী।

Shakib Hasan
מחק תגובה
האם אתה בטוח שברצונך למחוק את התגובה הזו?
Sabbir Ahmed
আপনার অভিনয় আমি দেখেছি।
מחק תגובה
האם אתה בטוח שברצונך למחוק את התגובה הזו?
Nafis Iqbal
מחק תגובה
האם אתה בטוח שברצונך למחוק את התגובה הזו?