আলেয়াকে বিয়ে করার ২৫ দিনের মাথায় বাহরাইন চলে যাই। বাহরাইনে থাকা অবস্থায় শুনি আলেয়া তার আগের প্রেমিকের সাথে চলে গেছে।
আলেয়াকে আমার মা-বাবা পছন্দ করেছিল। পারিবারিকভাবে বিয়ে হলেও আমি তাকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছিলাম। সে-ই ছিল আমার জীবনের প্রথম নারী, আমার প্রথম ভালোবাসা।
আলেয়ার চলে যাওয়ার বিষয়টা আমি মেনে নিতে পারি নি। সেই কষ্টে দীর্ঘ ২২ বছর আর দেশে ফিরি নি। পরবর্তীতে মেডিক্যালে আনফিট হয়ে বাধ্য হয়ে দেশে ফিরতে হয়।
দেশে ফিরে দেখি আমার দীর্ঘ প্রবাসজীবনের অর্জিত অর্থের সব কিছুই মা-বোন-ভাইয়েরা শেষ করে দিয়েছে। চার মাস বাড়ি থাকার পর রাগে-কষ্টে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের হই।
বাড়ি থেকে বের হয়েছি আজ সাড়ে পাঁচ বছর। তারপর থেকে মাজারে থাকি শুধু দুই বেলা ভাত খাওয়ার লোভে। এখন যাচ্ছি চট্টগ্রাম আমানত শাহ মাজারে, শুনেছি এই মাজারে নাকি খাবার পাওয়া যায়।
আজ একুশ দিনে হেটে হেটে চাঁদপুর হাজীগঞ্জ থেকে কুমিল্লা স্টেশনে এসেছি। যাব চট্টগ্রাম আমানত শাহ-এর মাজারে। জীবনের কাছে আমার কোনো চাওয়া নেই, শুধু দুই বেলা ভাত খেতে পারলেই সুখী।
চোখ মুছতে মুছতে কথাগুলো বললেন কাশেম আলী।

Nafisa Kamal
댓글 삭제
이 댓글을 삭제하시겠습니까?
Anika Islam
댓글 삭제
이 댓글을 삭제하시겠습니까?
Tariq Islam
গ্রামে ছোট্ট একটা ঘর ঘরের ভিতর বাবা মা আমি বউ বাচ্চা, আর মাসে চলার মতো একটা আয়,বাস এই টুকু জীবনে চাওয়া।
댓글 삭제
이 댓글을 삭제하시겠습니까?