অনেকে হয়তো জানেন না হাসনাত আবদুল্লাহ এক সময় প্রচন্ড ভালো লিখালিখি করতো। ওর অনেক পোস্টে কমেন্ট করতেন স্বয়ং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। আমি এসব চেক করতাম, ঈর্ষা হতো। কিন্তু মাঝেমধ্যে ভাবতাম- এসব উচ্চ লেভেলের চিন্তা করে কি লাভ যদি বাস্তব জীবনে প্রয়োগ না ঘটাইতে পারে।
একদিন দেখলাম রেজিস্টার বিল্ডিং-এর সামনে প্লেকার্ড নিয়ে একাই দাঁড়াই আছে, লাল ফিতার দৌরাত্ম ভাঙ্গার প্রতিবাদে। আমার ভুল ভাঙ্গলো। মনে হইলো ছেলেটার সচ্চ চিন্তাধারার মত কাজে-কামেও মিল আছে। ঢাবিতে খুব কম মানুষ আছে নিজের সময় নষ্ট করে এসব এক্টিভিটি করে।
জুলাইয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ'কে আবার নতুন করে চিনলাম। এক কাপড়ে দেশ স্বাধীন করায় হাসনাত আবদুল্লাহ'র যতটা ভূমিকা ছিলো- হলো জুলাইয়ের পর। বিপ্লবের স্পিরিট ধরে রাখতে সবচে বেশি লড়াই যারা করে যাচ্ছে, হাসনাতের নাম বোধহয় সবার উপরে থাকবে। স্বাভাবিক ভাবেই দালাল মিডিয়া কিংবা স্বৈরাচারীদের চোখ হাসনাতের দিকেই পড়লো।
মূল কথা যেটা বলতে চাইছিলাম- আমি এরকম অনেক মানুষকে দেখেছি যাদের চিন্তাভাবনা লিখালিখি খুব সুন্দর । আমার এক বন্ধু ছিলো, হাজার হাজার বই পড়তো- কিন্তু কোনদিন তাকে হল থেকে বের হয়ে টিএসসিতে যাইতে দেখি নাই, দেখি নাই কখনো নিপীড়িত স্টুডেন্ট কিংবা দেশের স্বার্থে দাঁড়াইতে। এই মানুষ গুলার উপর আমার একটা রাগ কাজ করতো সব সময়।
কিন্তু হাসনাত আবদুল্লাহ'কে দেখলাম- যার চিন্তাভাবনা, কথাকাজ, অনলাইন কিংবা বাস্তব জী

image