।।গল্প নয়, সত্যি।।
এ যেন রূপকথার গল্প। এক ছিলেন ঝারুদার, তাঁর বাবা তৈরি করতেন ঝুড়ি। ঝাড়ুদার হলে কি হয় ,বিজ্ঞানের প্রতি তাঁর ছিল বিরাট আকর্ষণ।বিশেষ করে খালি চোখে দেখা যায় না এমন কেউ রয়েছে কিনা তা জানার জন্য ছিল তাঁর অনুসন্ধিৎসু মন।খালি চোখে দেখা যায় না, তাতে কি হয়েছে! বানিয়ে ফেললেন অনুবীক্ষণ যন্ত্র।
প্রথমে তামার নলে একটি লেন্স লাগিয়ে বানিয়েছিলেন একটি অনুবীক্ষণ যন্ত্র। পরে দুটি লেন্স লাগিয়ে আরও একটি উন্নত ধরণের অনুবীক্ষণ যন্ত্র।
সেদিন খুব বৃষ্টি হচ্ছিল, তিনি বাইরে গিয়ে বারবার সেই জল এনে পরীক্ষা করছিলেন নিজের তৈরি অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে। মেয়ে মারিয়া দেখছিল বাবার পাগলামী। হঠাৎ বাবা চিৎকার করে মেয়েকে ডেকে অনুবীক্ষণ যন্ত্রে চোখ রেখে দেখতে বললেন।মেয়েতো দেখে হতবাক! আরে এ যে বিন্দুতে সিন্ধু ! কত রকমের জীব কিলবিল করছে ঐ জলে! খালি চোখে কিন্তু এদের দেখা যায় না।এখন যাদের আমরা বলি ব্যাকটেরিয়া,প্রোটোজোয়া,ঈষ্ট,রটিফার,ভলভক্স,হাইড্রা ইত্যাদি।পরে তিনি পর্যবেক্ষণ করেন স্নায়ুকোশ, শুক্রাণু, পতঙ্গের পুঞ্জাক্ষী আরও কতো কি! পর্যবেক্ষণ করতেন পচা জল, নিজের থুতু , নিজের ত্বকের চাঁচি ,ছোট ছোট কৃমির দেহের গঠন প্রভৃতি বিষয় নিয়ে।
এক কথায় ভিত্তিস্থাপন করেন বিজ্ঞানের নূতন শাখা ব্যাকটিরিওলজী ও প্রোটোজুলজীর। ঝাড়ুদার থেকে হয়ে গেলেন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের মধ্যে একজন -শুধুমাত্র নিজের অধ্যবসায়ের ফলে।
এই বিজ্ঞানীর নাম হলো অ্যাণ্টনী ভন লিউয়েন হক।

Ayesha Rahman
حذف نظر
آیا مطمئن هستید که می خواهید این نظر را حذف کنید؟
Aryan Chowdhury
حذف نظر
آیا مطمئن هستید که می خواهید این نظر را حذف کنید؟
Nafisa Kamal
حذف نظر
آیا مطمئن هستید که می خواهید این نظر را حذف کنید؟