ডুমুর ফলের ভেতরে আণুবীক্ষণিক কিছু পোকা থাকে।
ডুমুরের বোটার ঠিক বিপরীত বিন্দুতে আছে অতিসূক্ষ্ম
একটা ছিদ্র। এই ছিদ্র দিয়ে পোকারা ভেতরে প্রবেশ করে। ডুমুরের ফলের মধ্যে ফুল থাকে, কিন্তু ফুলে কোনো মধু থাকে না। তাহলে নিশ্চয়ই পোকাগুলো ফুলের মধুর আশায় ভেতরে ঢোকেনি। তবে এরা কেনো ঢুকলো ডুমুরের ভেতর? মূলত এই পোকাগুলো ডুমুর ফলের মধ্যে ঢোকে ডিম পাড়তে! কারণ ফলের ভেতরের অংশ বেশ পুষ্টি-সমৃদ্ধ। আর ডিম নিষিক্ত করতে পুষ্টি-উপাদান প্রয়োজন। মা পোকাগুলো ডুমুর ফলের ভেতর ঢুকে কয়েকটা ফুলের মধ্যে ডিম পাড়ে।এভাবে ঘুরে ঘুরে ডিম পাড়তে গিয়ে পোকা গুলো নিজের অজান্তেই ডুমুরের অনেক ফুলে পরাগমিলন (Pollination) ঘটিয়ে থাকে।এরপর সঙ্গে করে পরাগ নিয়ে এখান থেকে বের হয়ে চলে যায় অন্য আরেকটি ডুমুরে ডিম পাড়তে। সেখানেও সে একই কান্ড ঘটায়। পৃথিবীর সব ডুমুরগাছ পরাগমিলনের জন্য কোনো না কোনো ধরনের কীটপতঙ্গ (Wasp) বা পোকার ওপর নির্ভরশীল। আর সেই পোকাগুলোও ডুমুরের ফলের ভেতর ছাড়া জন্মাতে পারে না (যেহেতু সব মা-পোকা ডিম পাড়ে ফলের ভেতর)। পরস্পর নির্ভরতার এ এক আশ্চর্য উদাহরণ। এক-পক্ষ ছাড়া অপর-পক্ষের বাঁচা অসম্ভব। উভয়ের ঘনিষ্ঠতম এ সম্পর্কের বয়স কম করে হলেও আট-নয় কোটি বছর!

Nafisa Kamal
تبصرہ حذف کریں۔
کیا آپ واقعی اس تبصرہ کو حذف کرنا چاہتے ہیں؟
Tariq Islam
تبصرہ حذف کریں۔
کیا آپ واقعی اس تبصرہ کو حذف کرنا چاہتے ہیں؟
Shakib Hasan
تبصرہ حذف کریں۔
کیا آپ واقعی اس تبصرہ کو حذف کرنا چاہتے ہیں؟